১১ ডিসেম্বর (শুক্রবার), ২০০৯ ১:৩৯ পুর্বাহ্ন
মানুষের পক্ষে কি সম্ভব ঈশ্বরের সাক্ষাত পাওয়া ? বা নিদেনপক্ষে ঈশ্বরকে অনুভব করা ? হয়তো, হয়তো নয়।
একটা সময় মানুষ খেয়াল ক’রতে পারে যে যৌনতা নতুন জীবন আনে। আর এই নতুন জীবন আনার ব্যাপারটাই ছিলো সবথেকে অলৌকিক ব্যাপার যা তখন পর্যন্ত মানুষ ভাবতে পারত। এতটা অলৌকিক একটা ব্যাপার শুধুমাত্র ঈশ্বরের পক্ষেই ঘটানো সম্ভব। ঈশ্বর এই অলৌকিক কাজটা করতে পারেন বা করেন নারীর মাধ্যমে। ফলে নারী ছিলো ঈশ্বর-স্থানীয় এবং পবিত্র। অথচ পুরুষকে ভাবা হ’তো অসম্পূর্ণ। অন্তত আত্মিক ভাবে। পুরুষ শুধুমাত্র স্বর্গীয় জ্ঞান বা Gnosis অর্জন ক’রে নিজেকে সম্পূর্ণ ক’রতে পারে। আর এই স্বর্গীয় জ্ঞান অর্জনের একমাত্র উপায় ছিলো নারী অভিজ্ঞতা বা নারীর সাথে দৈহিক মিলন। নারীর সাথে সংগমে পুরুষ প্রচণ্ড উত্তেজনার এক অনুভূতি পায় এবং এসময় তার মন সম্পূর্ণ শূন্য হ’য়ে পড়ে যা তাকে ঈশ্বরের সাথে পরিচিত করিয়ে দেয়।
এই ধরণের বিশ্বাস থেকে প্রাচীন বেশ কিছু ধর্মবিশ্বাসীরা একধরণের অনুষ্ঠানের আয়োজন করতো। যে অনুষ্ঠানে নারী পুরুষ মুখোস প’রে উপস্থিত হতো। সাধরণত নারীরা সাদা আর পুরুষেরা কালো মুখোস পরত। এরপর নারী পুরুষ যথেচ্ছাভাবে যৌনাচারে লিপ্ত হতো। এই ধর্মীয় সমাবেশের নাম হলো “হায়ারোস গামোস”। এই গ্রিক শব্দটির অর্থ পবিত্র বিয়ে।
দুই হাজার বছর আগেও মিশরের ধর্মীয় পুরুষ আর মহিলারা নিয়মিত ভাবেই নারীর প্রাণ পুনরুৎপাদনের ক্ষমতাকে উদযাপনের জন্য এই অনুষ্ঠানের আয়োজন এবং তাতে অংশ নিতো।
কিছু কিছু গবেষক মনে করেন পৃথিবীতে এখনও কিছু গোপন সংগঠন র’য়ে গেছে যারা এখনো অন্তত বছরে একবার বসন্ত ঋতুতে এই হায়ারোস গামোস আয়োজন ক’রে থাকে।