পার্বতীপুর স্টেশনে এসে ওদের ট্রেন থামে প্রায় সাড়ে আটটার দিকে। চারপাশে ঘন অন্ধকার। প্লাটফর্ম পেরিয়ে স্টেশন-বিল্ডিঙে আসতেই নাবিলা দেখে আহসান হাবিব ওদের জন্য অপেক্ষা করছে। আহসান হাবিব এগিয়ে এসে নাবিলাকে জড়িয়ে ধরে। ‘পথে কোনো ঝামেলা হয়নি তো পিচ্চি?’
- ‘না চাচ্চু। তুমি কেমন আছো?’
- ‘আমি ভালো।’ তারপর যুথি আর কলির দিকে তাকিয়ে বলে, ‘তোমরা একটু হাত মুখ ধুয়ে ফ্রেশ হ’য়ে নিবে? আমাদের দিনাজপুর পৌঁছাতে আরো প্রায় ৪০/৪৫ মিনিট সময় লাগবে।’
- ‘আমি একটু ওয়াশরুমে যাবো।’ কলি জানায়।
- ‘পাবলিক টয়লেটটা একটু সামনে। চলো আমরা ঐ দিকটাতে যাই।’ আহসান হাবিব ওদেরকে পথ দেখিয়ে দেয়। সবাই একটু ফ্রেশ হ’লে পর ওরা স্টেশন বিল্ডিং থেকে বের হ’য়ে আসে। স্টেশনের একরকম মুখেই ওদের গাড়ি অপেক্ষা করছে। একটা নীল মিতসুভিসি পাজেরো। আহসান হাবিব সামনের সিটে গিয়ে বসে। একেএকে গাড়িতে কলি, যুথি আর নাবিলা চ’ড়ে বসে। কলি গাড়িতে ওঠার সময় চাচ্চু যেন শুনতে না পারে এমন ক’রে নবিলাকে বলে, ‘আমি আগে উঠি পিচ্চি?’ নাবিলা চোখ পাকিয়ে তাকায় ওর দিকে।
ওদের ব্যাগপ্যাকগুলো খুব বড় নয়। যে যারটা তার হাতেই রাখে। গাড়ি ছাড়ার পর আহসান হাবিব নাবিলার হাতে একটা ছোট হটপট তুলে দেয়। পথে খাওয়ার জন্য চাচী মাংসের টিকিয়া বানিয়ে পাঠিয়েছে। যুথি আর কলি হামলে পড়ে সেটার উপর। আহসান হাবিব সেটা দেখেও না দেখার ভান ক’রে ড্রাইভার লিটনকে সামনের রাস্তার কোনো একটা ভাঙার দিকে খেয়াল করতে ব’লে। এইদিকের রাস্তায় বেশ কিছু জায়গাতে কাদা জমে আছে। হয়তো দিনে কোনো সময়ে বৃষ্টি হয়েছে।
আহসান হাবিবের সরকারী কোয়ার্টারে পৌঁছাতে প্রায় ১০টা বেজে যায় ওদের। ওরা ভেতরে ঢুকতেই ইকবাল এসে নাবিলাকে জড়িয়ে ধরে। ‘আপু, আমার জন্য কি এনেছো?’
- ‘কী চায় তোর বল?’
- ‘তোমাকে কাল বলবো, এখন মার সামনে বলা যাবে না।’ রানু সেটা শুনে ফেলে। ‘ছাড় তো ওকে এখন। মেয়েটা আসতে পারলো না আর তুই বাইনা শুরু করলি!’ এ কথাতেও ইকবাল নাবিলাকে ছাড়ে না। নাবিলার এক হাত ধ’রে ওদের সাথে সাথে ভেতরে ঢোকে। যুথি তখন ওর ব্যাগ থেকে বের ক’রে ইকবালের হাতে একটা চকলেট তুলে দেয়।
রানু যুথি আর কলিকে ওদের ঘরটা দেখিয়ে দেয়। ‘তোমরা কাপড়-চোপড় ছেড়ে একটু গুছিয়ে নাও। আমি খাবারের ব্যবস্থা করি। খাবার টেবিলেই কথা হবে, কি বলো?’
- ‘আচ্ছা চাচী।’ যুথি আর কলি একই সাথে বলে।
- ‘তুই আমার সাথে আয়।’ নাবিলাকে নির্দেশ ক’রে বলে রানু। ওদের ঘর থেকে বের হ’য়ে ওরা ইকবালের ঘরে ঢোকে। বেশ বড়সড় ঘরটা। সেখানে রানু নাবিলার জন্য আর একটা খাট পেতে দিয়েছে। ‘তুই ইকবালের সাথে এই ঘরে থাকবি। বসার ঘরের খাটে মশারি টাঙানোর ব্যবস্থা নেই। কয়েকদিন খুব মশা হয়েছে।’
- ‘ঠিক আছে চাচী।’
- ‘তাহলে তাড়াতাড়ি কাপড় বদলে খাবার ঘরে আয়।’ ইকবালের দিকে তাকিয়ে বলে, ‘তুই ওদেরকে দেখিয়ে দিস। আমি খাবার ঘরে গেলাম।’
নাবিলা চটজলদি গোসল ক’রে নেয়। তারপর ইকবালকে সাথে করে যুথি আর কলিদের ঘরে যায়। যুথি বিছানায় গড়াগড়ি করছে আর কলি বাথরুমে। ‘কলি এখনো বের হয়নি?’
- ‘উহু। কতক্ষণে যে বেরোবে কে জানে? ততক্ষণে না আমি আবার ঘুমিয়ে যাই!’
- ‘ঐ ঘরের বাথরুমে যাবি?’
- ‘না, থাক। দেখি কলিকে একটু নক ক’রে।’ ব’লে বিছানা থেকে উঠে যুথি বাথরুমের দরজায় টোকা দেয়। ‘এই তোর হ’লো?’
- ‘কেন? তোর ইমারজেন্সি?’ কলির উত্তর আসে। শুনে নাবিলা না হেসে পারে না।
- ‘তুই চল আমার সাথে। ঐ ঘরের বাথরুমটা দেখিয়ে দিই তোকে। আর আমি গিয়ে দেখি চাচী কী করে।’ যুথি যাওয়ার সময় কলির বাথরুমে আবার টোকা দেয়। ‘৫ মিনিটের ভেতরে যদি বের না হোস তোর কিন্তু আজ খবর আছে!’
- ‘১০ টাকা বাজি।’ নাবিলা বলে।
- ‘আচ্ছা যা বাজি। যদিও জানি হারবো।’
ইকবাল আর নাবিলা রান্না ঘরে ঢোকে। কাজের লোক রাহেলা খাবার গরম করছে। চাচী হাড়ি থেকে ভাত একটা বাটিতে তুলে তা ইকবালের হাতে দেয়। ডালের বাটিটা দেয় নাবিলার হাতে। ‘তোরা গিয়ে টেবিলে বস। আর ওরা কই?’
- ‘ওরা এখনো ওয়াশরুমে। চাচ্চু কই চাচী?’
- ‘বাবা টিভি দেখে।’ ইকবাল তড়িৎ জানায়।
- ‘চল, আমরাও টিভি দেখি গিয়ে।’
- ‘বাবা তো খবর দেখে।’
- ‘তুই খবর দেখিস না!’
- ‘দে..খি..’ টেনেটেনে বলে ইকবাল। ‘তবে কম..’
- ‘আচ্ছা চল দেখি ওরা বের হ’লো কিনা।
নাবিলা বাজিতে হেরে গেছে। ব্যাপারটা যুথিরও বিশ্বাস হচ্ছে না। ‘এই তুই কি আমাদের কথা শুনে ফেলেছিলি?’
- ‘কোন কথা?’
- ‘পরে বলবো। চল এখন তাড়াতাড়ি। চাচী খাবার সাজিয়ে বসে আছেন।’
খাওয়াদাওয়া শেষ ক’রে ওরা দ্রুতই ঘুমিয়ে পড়ে। একেতে লম্বা ভ্রমণের ধকল তার উপর চারপাশটা যেন আরো আগেই ঘুমিয়ে পড়েছে। এমন সময় জেগে থাকাটাই কেমন যেন অস্বাভাবিক।
নাবিলার সব সময়ই খুব ভোরে ঘুম ভেঙে যায়। চোখ খুলে মশারির ভেতর থেকেই চারপাশে একটু দেখার চেষ্টা করে। জানলার দিকে তাকিয়ে বোঝা যায় উষার আলো ফুটতে শুরু করেছে মাত্র। ঘরে খুবই সামান্য আলো আসছে। তাতেও বোঝা যায় ইকবাল পাশের বিছানায় ঘুমাচ্ছে। দূরের কোনো একটা পাখির ডাক শোনা যায় কি যায় না। নাবিলা উঠে পড়ে বিছানা ছেড়ে।
দাঁত মেজে বাথরুম সেরে নাবিলা বারান্দায় গিয়ে দাড়ায়। আরো একটু আলো ফুটেছে। গাছপালার ভেতর দিয়ে বেশ দূরের আর একটা কোয়ার্টার দেখা যাচ্ছে। শহর এত চুপচাপ হ’তে পারে! খুলনার কথা মনে আসে নাবিলার। খুলনা শহরের শব্দে কেমন যেন একটা পাগলামী আছে! দিনের শব্দে, রাতের শব্দে, সকালের শব্দে, বিকালের শব্দে, বাড়ির শব্দে, রাস্তার শব্দে, পাটকলের শব্দে, ম্যাচ ফ্যাক্টরির শব্দে…। নাবিলার স্মৃতিতে নানা শব্দ দুলে ওঠে। বিশ্ববিদ্যালয়ের শব্দ, রূপসা নদীর শব্দ, ফিসারি ঘাটের লঞ্চের শব্দ, গাড়ির শব্দ, রিকশার শব্দ… চেনা শহরের শব্দ, অচেনা শহরের শব্দ। কয়েক দিন আগে যে যশোর থেকে ঘুরে আসলো তার শব্দ আবার আর এক রকম। আচ্ছা একেক শহরের শব্দ কি একেক রকম? নাকি ওর কাছে আজকের সকালে একেক রকম লাগছে কোনো কারণে?
- ‘উঠে পড়েছিস?’ চাচীর কথায় নাবিলার যেন ঘোর কাটে।
- ‘হুম। তুমি কখন উঠলে?’
- ‘মাত্রই। তুই হাত-মুখ ধুয়েছিস?
- ‘হুম।’
- ‘আয় তবে আমার সাথে। তোর চাচ্চুও উঠে পড়েছে। এক সাথে চা খাই চল।’
- ‘ইকবালকে তুলবে না?’
- ‘এখন? দেখ তুলতে পারিস কিনা! আমি আটটার সময়ও টেনে তুলতে পারি না।’
- ‘আচ্ছা সাতটার দিকে টানাটানি ক’রে দেখবো। চলো… চা বানিয়েছো না বানাবে?’
- ‘চুলায় পানি দিয়েছি। রং-চা কিন্তু। আমি বিয়ের আগে রং-চা খেতেই পারতাম না। এখন তোর চাচ্চুর পাল্লায় প’ড়ে সকাল বিকাল এটাই খাই। অভ্যাস হ’য়ে গেছে।’
- ‘তুমি বিয়ের আগে থেকেই সকালে চা খাও?’
- ‘ও না… আমাদের বাসায় চায়ের চল তেমন একটা ছিলো না। আমাদের বাসায় আমার এক দূর-সম্পর্কের নানী থাকতেন। ওনার ছেলে-মেয়ে ছিলো না কোনো। তাই আমাদের সাথে থাকতেন। ওনার চা খাওয়ার অভ্যাস ছিলো। সকালের নাস্তা ক’রে বুড়ির এক কাপ গরম-গরম দুধ-চা লাগবেই। নানীর সাথে আমার খুব ভাব ছিলো। ওনার কাপ থেকেই মাঝে মাঝে একদুই চুমুক খেতাম।’ রানু চা বানাতে বানাতে ব’লতে থাকে। ‘কোনো কোনো দিন হয়তো বিকালে নাস্তার সাথে মা চা বানাতো। সব সময় দুধ-চা। এখন যত সহজে চা পাওয়া যায় তখন তো এতটা পাওয়াও যেতো না।’
- ‘তোরা কি নিয়ে গল্প করছিস?’ আহসান হাবিব রান্না ঘরে ঢুকতে ঢুকতে বলে।
- ‘চাচী ওনার নানীর সাথে চা খাওয়ার গল্প ব’লছে। তোমাকে ব’লেছে কখনো?’ নাবিলার কথায় আহসান রানুর দিকে তাকায়। সে তাকানো প্রেমিকের তাকানো। তাতে অনেক প্রশ্ন, অনেক কৌতুহল।
- ‘কি জানি! তোর চাচীর অনেক লুকানো গল্প আছে। সবাইকে সব গল্প করে না!’ আহসানের কণ্ঠে কৌতুক। রানু বা নাবিলার কারো সেটা বুঝতে বেগ পেতে হয় না।
- ‘চান-নানীর কথা বলছি। তুমি তো জানো ওনার কথা।’
- ‘ও! সেই ধনী ডাইনী বুড়ি?’
- ‘হয়েছে হয়েছে! নাও এখন চা খাও। নাস্তায় রুটির সাথে কি খাবে বলো।’
- ‘আলু ছাড়া যে কোনো কিছু।’
- ‘পটল ভাজিতেও আলু দেয়া যাবে না?’
- ‘নোপ।’ চাচ্চুর কথায় নাবিলা মিটমিট ক’রে হাসতে থাকে।
কিছুক্ষণের মধ্যেই দুইজন কাজের লোক চ’লে আসে। একজন ঘরদোর পরিস্কার করার। আর অন্যজন রাহেলা, রান্নাবান্নার জন্য। রানু ওদের দুইজনকে কাজের নির্দেশনা দেয়। তারপর নাবিলাকে নিয়ে যুথি আর কলির খোঁজ নিতে যায়। দরজা খোলে কলি। ওরা তখনো ঘুমাচ্ছিলো।
- ‘তোমরা চাইলে আরো একটু ঘুমাতে পারো। নাস্তা রেডি হ’তে আরো এক ঘন্টা। অবশ্য চাইলে এখন চা খেতে পারো।’
- ‘তা হ’লে ঘুমাই চাচী। নাস্তার সাথে চা খাবো আমি।’
যুথি আর কলির ঘর থেকে বেরিয়ে এসে রানু দেখে আহসান হাবিব হাঁটতে যাওয়ার জন্য তৈরী। ‘তুমি যাবে আজ?’
- ‘ওরা আরো একটু ঘুমাবে বললো। চলো যাই।’ স্বামীর সাথে সকালের এই হাঁটাটা রানুর খুব প্রিয়। খেলাধুলার সাথে সম্পৃক্ত থাকার কারণে আহসান হাবিবের এই অভ্যাসটা বেশ পুরোনো। ‘তুই যাবি আমাদের সাথে?’ নাবিলাকে জিজ্ঞেস করে রানু।
- ‘চলো। কত দূর যাবে তোমরা?’
- ‘দূরে না, এই কমপাউন্ডের ভেতরেই।’ রানু জানায়।
- ‘এখানে একটা ছোটখাটো মাঠ আছে। বাস্কেটবল, ব্যাডমিন্টোন খেলার মতো। ট্রাক-শুট আনছিস সাথে?’
- ‘ট্রাউজার-টিশার্ট আছে।’
- ‘ওকে। দেখি আমাকে ৫০ মিটারে হারাতে পারিস কিনা।’
- ‘তোমার সাথে পারবো না। আমি তো স্প্রিন্টার না।’
- ‘আমিও তো না। আমি খেলতাম ফুটবল। যা, তাড়াতাড়ি রেডি হ’য়ে আয়। আর তোর চাচীকে পারলে একটু বোঝা তো ব্যায়ামের সময় শাড়ী না প’রে অন্তত সালোয়ার কামিজ পরা ভালো। আমি এত বছরেও বোঝাতে পারলাম না এটা।’
দেখা যায় নাবিলার কথায় চাচী একবারেই রাজী হয়ে যায়, হয়তো নাবিলার পোশাক দেখে ভরসা পায়। জগিঙের উপযোগী পোশাক রানুর জন্য আসহান হাবিব কয়েক বারই এনে দিয়েছে। রানু কি মনে ক’রে আজ সেগুলো থেকে একটা বের ক’রে পরলো। সেটা দেখে আহসান হাবিব শুধু বললো, ‘বাহ!’
নাবিলার দেখা দেখি রানু একটু দৌড়ানোরও চেষ্টা করলো। অল্প দৌড়েই হাপিয়ে উঠলো যদিও। তবে রানু হাঁটতে পারে বেশ। একটু জিড়িয়ে নিয়ে রানু মাঠটার চারপাশে পাক দিয়ে হাঁটতে লাগলো। আহসান আর নাবিলা একসাথে মাঠটার চারপাশে পাঁচটা পাক দেয়। তারপর দুইজন মাঠের এক কোণে বসে পানি খেতে থাকে। রানু কিছুক্ষণের ভেতরে ওদের সাথে যোগ দেয়। ‘দৌড়ালে তো হার্টবিট বেড়ে যায়। তোমরা এতটা দৌড়ালে কিভাবে?
- ‘চাচী, তুমি একটু দ্রুত শুরু ক’রে দিয়েছিলে। আস্তে আস্তে স্পিড বাড়াতে হয়। আর একটু তো অভ্যাস লাগেই।’ নাবিলা জানায়।
- ‘আমাকে আর একটু দেখিয়ে দিস তো।’
- ‘আচ্ছা। এখন একটু পানি খেয়ে মাঠে গড়াগড়ি করো।’
৪/৫ মিনিট পর নাবিলার সাথে রানু মাঠের লম্বা বরাবর আস্তে আস্তে একটু দৌড়ানোর চেষ্টা করে। আহসান হাবিব মাটিতে গোড়ালি যতটা কম পারা যায় লাগানোর চেষ্টা ক’রতে বলে রানুকে। এবার বেশ সহজেই সেটা পারে রানু।
বাসায় ফিরে দেখা যায় যুথি ঘুম থেকে উঠে হাতমুখ ধুয়ে একটা বই হাতে নিয়ে বসেছে। আর কলি তখনো ঘুমে। নাবিলা কলি আর ইকবাল দুইজনকেই বিছানা থেকে টেনে তুলে ফেলে। অদ্ভুত ভাবে কেউই কোনো অপত্তি করে না।
পরিকল্পনা করা হয় আজ ওরা শুধু শহরটা ঘুরে দেখবে। বিকালে বড়মাঠ আর রামসাগর দেখতে যাবে ওরা। সাথে চাচী আর ইকবালও যাবে। আর টিকেট পাওয়া গেলে লিলি সিনেমা হলে ওরা একটা সিনেমা দেখবে। কান্ত-জিউয়ের মন্দির দেখতে যাবে শুক্রবার চাচ্চু আহসান হাবিবের সাথে। মাঝখানের একটা দিন কি করা যায় তাই নিয়ে কথা হয় কিন্তু ঠিকঠাক হয়না কি করা হবে।
যু্থির একটা স্বভাব যে শহরেই যাক না কেন সেখানকার লাইব্রেরী ঘুরে ২/৩ টা বই কিনবেই। বইয়ের দোকানে গিয়ে ওরা এক লাইব্রেরিয়ানের কাছ থেকে জানতে পারে দিনাজপুরের কালিয়া-জিউয়ের মন্দির আর রাজবাড়ির কথা। মন্দিরটা রাজবাড়ির লাগোয়া। রাজবাড়ির লোকজন এই মন্দিরে পূজা করতো। আর সার্বোজনীন পূজার জন্য নাকি রাজবাড়ির বাইরে একটা পূজার মন্ডপও আছে। সবচেয়ে বড় কথা রাজবাড়িটা শহরের ভেতরেই। ফলে সকালে বেরিয়ে দুপুরের ভেতরেই ঘোরাঘুরি শেষ করে বাসায় ফিরে আসা যায়। ওরা ঠিক করে আগামী কাল ওরা ওখানে যাবে।
(চলবে)